ছাতক উপজেলা বিএনপিকে নিয়ে আমার না বলা কিছু কথাঃ নিজাম উদ্দিন
ছাতক প্রতিনিধি::আমার দীর্ঘ দিনের গভীর ভালোবাসা ছাতক উপজেলা বিএনপি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতে খুব ইচ্ছে করে। যোগ্যতা সাহসে কুলায় না এবং শ্রদ্ধাবোধের কারণে লিখছি না।
দীর্ঘ ১৮বছর পর বিগত ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ইং ছাতক উপজেলা বিএনপি একটা চমৎকার উৎসবমুখর কর্মী সমাবেশ সম্পন্ন করেছে। যেখানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী নেতাসহ বিভাগীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ৬ই জানুয়ারি ২০২৫ইং দোয়ারা বাজার উপজেলা বিএনপির অনুরূপ একটা কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে (১৫০+১৫০) না হয়ে আরো ভালো কিছু হতে পারতো। এই উৎসবমুখর অতি গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সমাবেশ থেকে যেমনি অনেক কিছু শিখতে চেষ্টা করেছি, তেমনি স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য শোনে বিস্মিত আশাহত হয়েছি। ব্যখ্যা বিশ্লেষণ থেকে খুব কষ্টে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করছি। শালীনতা ভদ্রতা বজায় রেখে সর্বোচ্ছ সমীহ সম্মান প্রদর্শন করে আবেগ ভালবাসা দিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু লিখতে পারতাম। হ্যাঁ লিখতে পারতাম।
বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে প্রোগ্রামের মুল্যায়ন নিয়ে কিছু কথা লিখা উচিতও ছিল। আমি লিখলে মাঠের সহকর্মীদের নিশ্চয়ই অনেক ভালোবাসাও পেতাম। কেন লিখছি না, জানেন? লিখলে অনেক শ্রদ্ধেয়জন আমার উপর খুবই মনোক্ষুণ্ণ হতে পারেন, অতীতের কিছু লেখা থেকে তাই অনুভব করেছি।
মহান আল্লাহ যদি কখনও দেশে সহকর্মীদের সামনে যাওয়ার সুযোগ দেন অপ্রকাশিত কিছু কষ্টের কথা, স্বপ্নের কথা বলবো ইনশাআল্লাহ।
রাজনীতিতে যেটুকু অর্জন বা সাফল্য এর জন্য আমার মেধা শ্রম ঘাম কতটুকু ছিল জানি না। অনেক প্রশ্ন যেটুকু পেয়েছি এতটুকুর যোগ্য কি ছিলাম না? রাজনীতিতে দেওয়া নেওয়ার জটিল হিসেব থাকে, হয়তো আমি পেয়েছি কৃপা করুণা। রাজনীতিতে যেটুকু পেয়েছি যুগে যুগে শ্রদ্ধেয় নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান ভাইয়ের কাছে কাছে গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ।
আমি জ্ঞাতসারে কোন নেতার মনোকষ্টের কারণ হতে চাইনি! সত্যি কি আমি স্থানীয় কাউকে কষ্ট দিয়ে কখনও খুব বেশি কিছু লিখেছি? আমি রাজনীতির ছাত্র, লেখালেখির মানুষ, স্বভাবশোলভ ভঙ্গিতে মাঝে মাঝে আমার মতো করে কিছু প্রাসঙ্গিক বা সাম্প্রতিক বিষয়াবলি নিয়ে অল্প একটু লিখার চেষ্টা করি।
আমি মনে করি আমার লিখার ভাষা গভীরতা যারা বুঝতে পারেননি তারাই হয়তো কষ্ট পেতে পারেন।
ছাতক উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ ১১বছরের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, অনেক ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রিয় সহকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই ১১বছরে অন্যান্য উপজেলায় একাধিক বার কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্ব অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু আমরা পারিনি।
দীর্ঘ ১৬/১৭ বছরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে অনেক রক্তনদী পেরিয়ে, অজস্র নেতাকর্মীর রক্তের ঋণের উপর দাঁড়িয়ে, আজকে বিএনপি যথেষ্ট ভালো সময় অতিক্রম করছে। আসন্ন ছাতক উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে ঘিরে আগামী দিনের রাজনীতির অনেক হিসেব নিকেষ চলছে। জেলার নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় শ্রদ্ধেয় নেতাদের কাছে বিনয়ের সহিত অনুরোধ রাখছি শুধু নিজের অনুগতকে গুরুত্ব না দিয়ে, যিনি নেতৃত্বের গুণাবলিতে যোগ্য পরিচ্ছন্ন প্রশংসিত এবং সবার কাছে শ্রদ্ধেয় সমাদৃত, তার হাতেই যেন দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। নিশ্চয়ই এই চাওয়াটা শুধু আমার নয়, প্রান্তিক জনপদের সমস্ত ত্যাগী নিবেদিত নেতাকর্মীর।
আমার খুব ছোট্ট একটা চাওয়া যে সকল গুণী শ্রদ্ধেয় নেতারা বিএনপি রাজনীতি করেছেন আজ বেঁচে নেই, মাঝে মাঝে অন্তত তাদের শ্রদ্ধার সাথে একটু স্মরণ করুন।
ছাতক উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে যারা দায়িত্বে আসছেন তাদের সকলের প্রতি আগাম সংগ্রামী শুভেচ্ছা থাকলো, অনেক অনেক নিরন্তর শুভ কামনা। যারা নেতৃত্বে আসবেন একটু কষ্ট করে চট্টগ্রাম জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখে আসুন। সেখানে গেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম কিছুটা পরিমাপ করতে পারবেন, তবেই হয়তো হতে পারবেন আপনি একজন খাঁটি জিয়ার সৈনিক।
দেশবাসীর অধিকার আদায়ের নিরলস সংগ্রামে সৎ এবং অধিকতর যোগ্য নেতাদের মুল্যায়ন হউক, হাসি ফুটুক কর্মীর মুখে।
#মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান
উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদ, ছাতক সুনামগঞ্জ।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক,সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,
ছাতক উপজেলা বিএনপি।
সাবেজ যুগ্ম সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি।