ছাতকে সওজের উচ্ছেদে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক::ছাতকে সড়ক ও জনপথের হটাৎ উচ্ছেদ অভিযানে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সড়ক উন্নয়নের স্বার্থে সওজের এ উচ্ছেদ অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসেছে।
কিছুদিন পর পর সওজের ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ’ অভিযানে ‘উদ্বাস্তু’র মতো হয়ে পড়েন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের শত শত ব্যবসায়ীরা। এসময় চরম জীবিকার সংকটেও পড়েন তারা। স্থায়ী কোনো সমাধান না থাকায় দুই-একদিনের মধ্যে আবারও নিজেদের ‘দখলি’ জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করেন দিশেহারা মানুষগুলো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সকালে উচ্ছেদ অভিযান হলেও, বিকালেই খোলা আকাশের নিচে দোকান খুলতে বাধ্য হন তারা। কারণ জীবিকা নির্বাহের আর কোন পথ তাদের খোলা নেই।
এমনও ব্যবসায়ী আছেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে ঘরের চুলায় আগুন জ্বলে না। এমন পরিস্থিতিতে ভাসমান এসব ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মচব্বিরের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন এবং কোষাধ্যক্ষ শোয়েব আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্টিত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আলী, ইয়াছিন,শাহজান মিয়া, মজিদ মিয়া, দুদু মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, কদর আলী, ইমান আলী, নুর হোসেন ও মুহাম্মদ আলী।
জাউয়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ব্যবসায়ীদেরকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি যাতে অসহায় এসব ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদের আমাদের কিছু করার নেই।
সুনামগঞ্জ সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
আশরাফুল হামিদ বলেন, সওজের ভূমিতে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে সিএনজি সহ গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব। পূর্ণবাসনের বিষয় আমাদের কিছু করার নেই।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, অবৈধ জায়গায় ব্যবসা করলে তো উচ্ছেদ করা হবে। যদি বৈধ জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ হতো আমরা ক্ষতিপূরন দিতাম। উচ্ছেদ অভিযানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা আমার কাছে আসুক, তাদের সাথে কথা বলে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।