1. info@www.jawarbarta.com : জাউয়ার বার্তা :
  2. zubaerahmad85@gmail.com : জাউয়ার বার্তা : জাউয়ার বার্তা
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পয়গামে ঈদ অনুষ্ঠিত জামেয়া দেউল গ্রাম বড়কাপন গ্রামে অসহায় পরিবারকে “ফ্রেন্ড পরিবার”-এর ১৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির বিক্রয় দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতার পে–অর্ডার জালিয়াতি জাউয়া বাজার ইউনিয়নের মুলতান পুর গ্রামে কিশোর নিখোঁজ: গাঙ্গে সাতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায় ছাতকে ৬দিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন লক্ষ্মীসোম টু ভাতগাঁও রাস্তায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ, বর্ষায় আরও বিপদ আশঙ্কা এলাকাবাসীর জরুরি সংস্কারের জোর দাবি ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ৫নং জাউয়া বাজার ইউনিয়ন কমিটি গঠিত ছাতকের জাউয়া বাজারে জমিয়তের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন আবু আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি: উদ্বিগ্ন বিশ্ব সম্প্রদায়

নদীর পাড়ের বাড়ি:-ফেরদৌস আহমেদ

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নদীর পাড়ের বাড়ি:-ফেরদৌস আহমেদ

আমার একটা বাড়ি ছিল পদ্মা নদীর তীরে
সাত পুরুষের জনম গেছে খরকুটার এই নীড়ে

একটুখানি উঠোনে ছিল ছোট্ট ক টা ঘর
পাশেই ছিলো বাবা-মায়ের পুরনো কবর।

দক্ষিনে এক পুকুর ছিল কানায় কানায় জল
দখিন হাওয়ার ঢেউ গুলো তার করত টলমল।

হালের দুটো বলদ ছিল একটা দুধের গাই
ওরা যেন ছিল আমার ভাগ্নি এবং ভাই।

ঘরের মুখে ছিল দুটো লাল গোলাপের চারা
সারা বাড়ি থাকতো ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা

লাল পুঁইয়ের এক মাচা ছিল আঙ্গিনার এক পাশে
পুঁইয়ের ডগা দুলত সেথায় দক্ষিণা বাতাসে।

তাজমহলের রূপ ছিল মোর সবুজ-শ্যামল নীড়ে
আসতে যেতে পথের পথিক চাইত ফিরে ফিরে।

এই বাড়িতে তেমন সুখেই যাচ্ছিল দিন কেটে
যেমন সুখে শিশুরা সব ঘুমায় মায়ের পেটে।

আমার এ সুখ সইল না ঐ পদ্মা নদীর প্রাণে
বান ডেকে সে ঢেউ তুলে মোর বক্ষে আঘাত হানে।

ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিল ভাসালো দুই আঁখি
অশ্রু ছাড়া কিছুই সে মোর রাখল না আর বাকি।

কাল যেখানে ছিল আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই
আজ সেখানে জলের খেলা আমার কিছুই নাই।

বাপ মা আমার ঘুমিয়ে ছিল কাল যে মাটির ঘরে
আজ সেখানে নদীর পানি রঙ্গে খেলা করে।

সাত পুরুষের স্মৃতির মতন নাই কো কিছুই আর
নদীর জলে ভাসছে তাদের গোর কবরের হাড়।

নদীর জলে হাড় পেলে কেউ বক্ষে তুলে নিও
গোর হারা মোর মায়েরে আবার দাফন করে দিও।

কাল যেখানে থাকত বাঁধা আমার বলদ গাভী
আজ সেখানে বানের জলে ভাসছে হাবিজাবি।

তদের সাথে যদিও আমার রক্ত বাঁধন নাই
তবুও ওরা ছিল আমার ভগ্নী এবং ভাই।

আমার সুখে হাসত ওরা কাঁদত আমার দুখে
নিজের বাছুর উপুস রেখে দুধ দিতে মোর মুখে।

হাসিমুখে আমার সাথে টানত ওরা হাল
ভাইয়ের মতোই সঙ্গ দিয়ে আসছে চিরকাল।

আমার এ সুখ হয়নি হজম পদ্মা নদীর চোখে
আঘাত করে আমাদের এই ভাই বাঁধনের বুকে।

হঠাৎ দেখি তার আঘাতে উঠোন গেছে ফেটে
প্রাণ বাঁচাতে দিলাম ওদের গলার দড়ি কেটে।

নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়ে সাত জনমের বাঁধন
অবাক চেয়ে শুনছি তাদের হাম্বা সুরের বাঁধন।

বিদায় কাঁদন কান্ধে ওরা আমার দিকে চাহি
আমিও কাঁদি কান্না ছাড়া কিচ্ছু করার নাহি।

জানিনা আজ কোথায় ওরা মরল না কি আছে
কোথায় পাব তাদের খবর সুধাই বা কার কাছে।

নদির জলে পাও যদি কেউ তিনটি বলদ গাই
বুঝে নিয়ো এরাই আমার হারানো বোন ভাই।

বিনয় করে বলছি তোমার পা জড়িয়ে ধরে
একটু তাদের থাকতে দিও তোমার গোয়াল ঘরে।

শিরোনাম:- নদীর পাড়ের বাড়ি।
লেখায়:- ফেরদৌস আহমেদ।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত জাউয়া'র বার্তা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট