1. info@www.jawarbarta.com : জাউয়ার বার্তা :
  2. zubaerahmad85@gmail.com : জাউয়ার বার্তা : জাউয়ার বার্তা
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়কাপন গ্রামে অসহায় পরিবারকে “ফ্রেন্ড পরিবার”-এর ১৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির বিক্রয় দরপত্রে সর্বোচ্চ দরদাতার পে–অর্ডার জালিয়াতি জাউয়া বাজার ইউনিয়নের মুলতান পুর গ্রামে কিশোর নিখোঁজ: গাঙ্গে সাতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায় ছাতকে ৬দিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন লক্ষ্মীসোম টু ভাতগাঁও রাস্তায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ, বর্ষায় আরও বিপদ আশঙ্কা এলাকাবাসীর জরুরি সংস্কারের জোর দাবি ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ৫নং জাউয়া বাজার ইউনিয়ন কমিটি গঠিত ছাতকের জাউয়া বাজারে জমিয়তের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন আবু আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি: উদ্বিগ্ন বিশ্ব সম্প্রদায় যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ড.মিজানুর রহমান আজহারীকে প্রকাশ্য তাওবাহের আহ্বান-সৈয়দ মবনু’র

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

ড.মিজানুর রহমান আজহারীকে প্রকাশ্য তাওবাহের আহ্বান সিলেটের-সৈয়দ মবনু’র

ড. মিজানুর রহমান আজহারী এদেশের কারো কারো কাছে খুবই সম্মানিত এক ওয়ায়েজ আলেম। আমি তাকে খুব বেশি জানি না। তবে ফেসবুকে মাঝেমধ্যে দেখি তিনি বিদেশ থেকে গ্যাসষ্টিকের বিজ্ঞাপন করেন এবং দেশে আসলে ওয়াজের মাহফিলে বক্তব্য রাখেন। তিনি বড় আলেম না ছোট আলেম, তাও আমি জানি না। তবে জামায়াতের লোকদের কাছে তিনি খুবই আদরনীয়। তারা তাকে খুব শ্রদ্ধা করেন। যেকোন গ্রুপের মানুষ যদি কাউকে শ্রদ্ধা করে তাকে আমিও শ্রদ্ধা করি। কারণ একজন মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন এত সহজ নয়। এই স্থান থেকে আমি ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে অনেক মানুষকে শ্রদ্ধা করি আদর্শিক বেমিলের পরও। তবে আমি আল্লাহ, রাসুল ও সাহাবীদের ছাড়া কাউকে অন্ধভাবে মানি না।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী আমাদের নবী
হযরত মুহাম্মদ (স.) কে ‘কাউবয়’ বলেছেন। আমি এই স্থান থেকে তার বক্তব্যের নিন্দা করছি এবং তাকে তাওবার আহ্বান করছি।
কাউ-এর বাংলা গরু এবং ‘বয়’ এর বাংলা বালক। কাওবয়ের শাব্দিক বাংলা অর্থ ‘গরু বালক’। ব্যবহারিক অর্থ গরু রাখাল বালক। আর যদি কাওবয়ের সাংস্কৃতিক অর্থ বলি তবে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় ভিন্ন অর্থ। আমেরিকার হলিউড কর্তৃক প্রচুর কাউবয় সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। আমেরিকান সমাজে কাউবয়ের চিত্র হলো সেই সিনেমাগুলোর মতো। গ্রামের এমন কিছু গরু রাখালদেরকে নিয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে যাদের কাজ হলো ঘোড়ায় চড়ে মাঠে গরু রাখা আর মদের দোকানগুলোতে আড্ডা দেওয়া, মারামারি করা ইত্যাদি। ওদের পোশাকও ভিন্ন। কাউবয়দের টুপি, বুট, জ্যাকেট ভিন্ন। গুগলে কাউবয় লিখে চার্জ দিলে এই চিত্রগুলো বেরিয়ে আসবে। কেউ যখন হযরত নবী করিম (স.) কে কাউবয় বলবে তখন চিত্রটা কি দাড়ায়? গুললে লিখে দেখুন।
বৃটিশ সমাজে বখাটে ছেলে বুঝাতে কাউবয় শব্দ গালি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বৃটেন এবং আমেরিকায় কাউকে কাউবয় বললে সে নারাজ হয়ে আক্রমণও করতে পারে। ড. মিজানুর রহমান আজহারীর হয়তো সেই জ্ঞান নেই, নতুবা আমি আশা করি তিনি এমন কথা বলতেন না। তবে তাঁর ভক্তদের দাবী তিনি মুফাস্সিরে কোরআন। একজন মুফাস্সিরে কোরআনের জানা থাকার কথা এ বিষয়ে কোরআনের হুকুম কি? পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১০৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহর নির্দেশ;

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقُوۡلُوۡا رَاعِنَا وَ قُوۡلُوا انۡظُرۡنَا وَ
اسۡمَعُوۡا ؕ وَ لِلۡكٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۰۴﴾

হে ইমানদারগণ! তোমরা (রাসুলকে) ‘রা‘ইনা’ বলে সম্বোধন করো না, বরং তোমরা বলবে ‘‘উনযুরনা’’ এবং শুনে নাও, বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের জন্যই রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।

রাইনা শব্দের দুই অর্থ হয়; ১. আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন। ২. আমাদের রাখাল। হযরতে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এ শব্দটি হযরত রাসুল (স.)-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। কিন্তু এ শব্দটি ইয়াহুদীদের ভাষায় এক প্রকার গালি ছিল, যা দ্বারা বুঝা হতো বিবেক বিকৃত লোক। সাহাবীরা বিষয়টি না জেনে হযরত রাসূল (স.)-এর শানে শব্দটি ব্যবহার করা শুরু করেন, সাথে সাথে আল্লাহ তা’আলা এ ধরণের শব্দ হযরত রাসুল (স.) এর শানে ব্যবহার করতে নিষেধ করে আয়াত নাযিল করেন।

অন্য আয়াতে এ ব্যাপারটিকে ইয়াহুদীদের কুকর্মের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “ইয়াহুদীদের মধ্যে কিছু লোক কথাগুলো স্থানচ্যুত করে বিকৃত করে এবং বলে, শুনলাম ও অমান্য করলাম এবং শোনে না শোনার মত; আর নিজেদের জিহবা কুঞ্চিত করে এবং দ্বীনের প্রতি তাচ্ছিল্ল করে বলে, ‘রা’এনা’। কিন্তু তারা যদি বলত, শুনলাম ও মান্য করলাম এবং শুন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য কর, তবে তা তাদের জন্য ভাল ও সংগত হত। কিন্তু তাদের কুফরীর জন্য আল্লাহ তাদেরকে লা’নত করেছেন। তাদের অল্প সংখ্যকই বিশ্বাস করে। (সূরা আন-নিসা ৪৬)।
উনযুরনা অর্থ ; আমাদের প্রতি নেকদৃষ্টি দিবেন। উনযুরনা শব্দের মাঝে কারো হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার কোন সুযোগ নেই। তাই আল্লাহর নির্দেশ উনযুরনা শব্দ ব্যবহার করা। এ থেকে আমরা এ শিক্ষা নিতে পারি যে, অমুসলিম তথা বাতিলরা যে সমস্ত দ্ব্যর্থমূলক শব্দ এবং সন্দেহমূলক বাক্য ব্যবহার করে থাকে, সেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

ড. মিজানুর রহমান আজহারী যদি জেনেশোনে এই শব্দ ব্যবহার করে থাকেন তবে তাকে আমার বলার কিছু নেই। যে সকল মুসলমান ইসলাম বুঝতে তার বক্তব্য শোনতে যান তাদেরকে অনুরোধ করবো তার বক্তব্য শোনে ঈমান নষ্ট করবেন না। অসংখ্য ভালো কথার মধ্যখানে একটি-দুটি এমন শব্দ এবং বাক্য এক বালটি দুধে এক চিমটি পেশাব যেমন সমস্ত বালটির দুধ নষ্ট করে তেমনি এই শব্দ ও বাক্য সকল ভালো কথাকে নষ্ট করে ঈমানকে বিপদগ্রস্ত করে দেয়। আর যদি তিনি এই শব্দ না জেনে বা ভুলবশত বলে থাকেন তবে দ্রুত প্রকাশ্যে তাওবাহ করে নিজে বাঁচা এবং অন্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করা উচিত।
স্মরণ রাখবেন, হযরত রাসুল (স.) সহ যেকোন রাসুল বা নবীর শানে, কিংবা হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-দের শানে বেয়াদবিমূলক বক্তব্য ঈমানের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়ত দান করুন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত জাউয়া'র বার্তা-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট