প্রসঙ্গ: শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
__ __ //// কবি ইমন শরিফ
যেসকল শিক্ষক ক্লাশকে গল্পঘর আর প্রাইভেটকে অর্থঘর বানিয়েছে,পারলে তাদের এই অবৈধ রুজির পথ বন্ধে আইনের শাস্তি সুনিশ্চিত করুন।
আর যারা বিএনপি,আওয়ামী সকল আমলে লেবাস বদলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে,তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।
এবং বিশেষ করে সেইসকল শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে সাহসের সাথে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আদালতের শরণাপন্ন হোন,যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকার প্রভাবশালীদের সন্তানদের পা চেটে,তাদেরকে সকলকিছুতে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষালয়কে বৈষম্যের কারখানায় পরিণত করে আঙুলফুলে কলাগাছ হয়েছেন।
আর হ্যাঁ,তাদের কথা মোটেও ভুলে যাবেন না,যারা আওয়ামীলীগের সময়ে আওয়ামীলীগের, বিএনপির সময়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীর তাবেদার হয়ে,পূজা করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভ করেছে,অথচ তাদের চেয়ে যোগ্যরা চোখের জলে ভেসেছে,এমনকি দেখা যায় ক্ষমতার পালাবদলের পর সবচেয়ে বেশি এরা সরকারের সমালোচনা করছে, বিভিন্ন উস্কানীর মূলে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ,কারণ এরা সুবিধাভোগী মুনাফেকশ্রেণি,বাংলাদেশের সমস্যার মূলে এরা অন্যদের চেয়ে কতোটা এগিয়ে তা তাদের বিগত কয়েকবছরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পর্যবেক্ষনেই বেরিয়ে আসতে বাধ্য।
খবরদার কোনো নিরীহ শিক্ষককে অপমান করবেন না। যদিও তিনি কোনো দল করেন এই প্রতিহিংসায় কোনো প্রমাণিত অপরাধ ছাড়া তাকে লাঞ্ছিত করা হলে,অবশ্যই তা জঘন্য অপরাধ।
এমনকি দোষী কারো উপর নিজে হাত না চালিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে তার কুকীর্তির বিচারের ভার তুলে দিন।
জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্যকরার সংস্কৃতি থেকে এখনই বেরিয়ে না এলে পরে তা রীতিমতো একটি বিচারহীন কালচারে পরিণত হতে বাধ্য হবে,যা অনাগত আগামীর জন্য অশনি সংকেত বটে।