মুসা আল হাফিজ আমাদের অঙ্গনের অত্যন্ত চেনা এবং প্রিয় মুখ -আরিফ আজাদ
বার্তা ডেস্ক::প্রিয় ব্যক্তিত্ব মুসা আল হাফিজ৷ আমাদের অঙ্গনের অত্যন্ত চেনা এবং প্রিয় মুখ। একাধারে তিনি সুলেখক, কবি এবং গবেষক। সব্যসাচী এই মানুষটি আমার প্রকাশিতব্য বই ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ এর ভূমিকা লিখে আমাকে ধন্য করেছেন৷ তাঁর প্রতি অফুরান কৃতজ্ঞতা। ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ পড়ে তিনি লিখেছেন
‘কবি একা আবার সমষ্টির কণ্ঠস্বর। তিনি নিজেকে করেন সম্প্রসারিত আবার গুটিয়ে যান নিজের মর্মে। তার আত্মতা বিকশিত হয় আত্মতাকে জয় করবার মধ্য দিয়ে। ভালোবাসা কবির চিরায়ত খাবার। কিন্তু ভালোবাসতে বাসতে কবিই জ্বালাতে পারেন লাভার জ্বালামুখ।
তিনি বিষবাষ্পের সাথে ঘর করেন, যেন বিষবাষ্পকে নিঃশেষ করতে পারেন। তার শব্দের অন্তরালে মানুষের দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রণা ভাষা লাভ করে। এই ভাষাস্রোত এগিয়ে যায় স্বপ্ন ও উত্তরণের বর্ণিল মোহনার দিকে।
কবিতার একটি দীর্ঘ এবং বৈচিত্রময় নিজস্বতা রয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে জীবনের তাৎপর্য রূপায়ণের নিগূঢ় খেলা খেলে কবিতা, তার খেলার মাঠ অনুভবের বহুমাত্রিকতা।
এই যে অনুভবের বহুমাত্রিকতায় রূপায়ণের খেলা, তা দেখা যায় আরিফ আজাদের কবিতার ছত্রে ছত্রে। অসুস্থতার বিপরীতে নিরাময়ের রণাঙ্গনে অবতীর্ণ তার পঙ্ক্তিমালা।
উত্তাপ আছে প্রখর, দ্রোহের জিহ্বা প্রায়ই শিখায়িত হয় তার কাব্যে। আবার প্রেম ও প্রতিশ্রুতি অগ্নিশিখাকে গোলাপের পাপড়ির চরিত্রে নিয়ে যায়।
আরিফ আজাদ চিৎকৃত। তার কাব্যস্থাপত্য প্রধানত বর্ণনালগ্ন। বর্ণনার ভেতরে আছে বিভূতি। হঠাৎ পাখির উড়ালের মতো উপমা-উৎপ্রেক্ষার পেখম। প্রতীক ও চিত্রকল্পের বাহারি বিস্তার।
এর মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় এই লেখক পাঠকের মনের কবি হয়ে উঠবার পথ রচনা করেন। যেখানে শব্দালংকার ও অর্থালঙ্কারের সমাবেশে পাঠক আবিষ্কার করবেন, তার মনের কথাটিই যেন এই মাত্র উচ্চারিত হলো আরিফ আজাদের সুরে।
জনপ্রিয় ও জীবনের মর্মবাহী আদর্শে সমর্পিত কবিতার ধারায় আরিফ আজাদ একটি শক্তিমান কবিকণ্ঠ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন।
তার কাব্যযাত্রা চেতনার বৈচিত্র্যময় ঘূর্ণিরাজিকে আলিঙ্গন করে আপন মোহনায় উপনীত হচ্ছে, এই প্রাপ্তি আমাদের জন্য এক উপাদেয় সুসমাচার।
কাব্যকাঠামো, রূপকধর্মিতা ও নান্দনিকতার দ্বারা আপন সময়, কালের যন্ত্রণা, হৃদয়ের ভাষা ও জীবনের আবর্তনসমূহকে স্পর্শ করার সৃষ্টিশীল সংগ্রামই তো কবিকে সম্পন্ন করে। এর সাথে যদি যুক্ত হয় সত্যকে নির্মমভাবে উপস্থাপনের শানিত সামর্থ্য, তাহলে সেই কবির কবিতা পাঠকের চিত্তজয়ে সক্ষম হবেই।
আরিফ আজাদ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থে আমাদের জন্য মনোহর এক উদ্যানের ফটক খুলে দিয়েছেন।
এই উদ্যানে সবাইকে আমন্ত্রণ করছি।